কাপ্তাই লেকে ডুবে যাওয়া ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

কাপ্তাই লেকে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ৪০ ঘণ্টা পর নিখোঁজ ২ কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ মিলেছে জেলেদের জালে। শনিবার (৪ নভেম্বর) রাঙ্গামাটির লংগদুতে বালুভর্তি বোট ও স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে লেকের পানিতে তলিয়ে যায় ৯ পর্যটক। এর মধ্যে ৭ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে পারলেও দুজন নিখোঁজ ছিলেন।

শনিবার দিবাগত রাতে নিখোঁজ দুজনের লাশ কাপ্তাই লেকে জেলেদের জালে আটকে উঠে আসে। উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলো- রিটন ও এলিনা চাকমা। নিহত দুজনই শিজক কলেজের উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি’র শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও লংগদু থানা পুলিশ উপস্থিত থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বাঘাইছড়ি থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোট ও রাঙামাটি থেকে ছেড়ে আসা বালুভর্তি বোটের সাথে ধাক্কা লেগে স্পিডবোটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় স্পিডবোটটিতে থাকা ৯ জন যাত্রীর সকলেই কাপ্তাই লেকের পানিতে পড়ে যায়।

স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও রিটন ও এলিনা নামের দুই শিক্ষার্থী লেকের পানিতে তলিয়ে যায়। স্পিডবোট চালকের খামখেয়ালিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং স্পিডবোটে থাকা যাত্রীদের কারো গায়েই জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট ছিলো না বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর দুপুরে দুর্ঘটনার পর থেকে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার অভিযানে নামে। শনিবার দিবাগত রাতে জালের সঙ্গে আটকে উঠে আসে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে রিটন চাকমার (২০) লাশ। তার পিতার নাম মুক্ত লাল চাকমা, গ্রাম ক্যাংড়াছড়ি, বাঘাইছড়ি। পরে মরদেহটি লংগদু থানায় নিয়ে আসা হয়।

এদিকে আজ রোববার (৬ নভেম্বর) ভোর ৬টার সময় এলিনা চাকমাকে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন জানান, আমাদের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে প্রথম দিন থেকে ঘটনাস্থলে ছিলো। নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।