খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। ক্ষমতায় এসে বিচারপতি খায়রুল হককে দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করেছে। আমাদের সকল গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন। অন্যথায় পালাবার পথ পাবেন না।
শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে বলছি, পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকার দিন। আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) অসাধ্যকে সাধন করেছেন। তিন দিন ধরে জল-স্থল সবখানে গণপরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। গত দুদিন ধরে লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও কি সরকার এই জনসমাবেশকে বাধা দিতে পেরেছে। ইতিহাস বলে, জনগণের ন্যায়সঙ্গত যে দাবি, তা হামলা করে দাবিয়ে রাখা যায় না।
তিনি বলেন, গত দুদিন ধরে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। বিএনপির মিছিলে গুলি করা হয়েছে। ২০ জন গুলিবিদ্ধ। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে কয়েকশ নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। গাজীর হাটে একজন নেতা পানিতে ডুবে গেছে। এখনও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজকে নেতাকর্মীরা লড়াই করেই এখানে উপস্থিত হয়েছেন।
পুলিশের গুলিতে নিহত নেতাদের স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গুলির সামনে, বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। কারণ তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়।