৮ বছর আগে চট্টগ্রামের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রেজাউল করিম মারা গেছেন। কিন্তু এখনও তিনিই রোগীদের ইকোকার্ডিওগ্রাফির রিপোর্ট দিয়ে চলেছেন! বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও, সেভরন ক্লিনিকে এমনটাই ঘটেছে।
জানা গেছে, শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাব ৮ বছর আগে মারা যাওয়া সেই চিকিৎসকের নাম না সরিয়েই রোগীদের রিপোর্ট দিচ্ছিলেন।
গত ২৬ আগস্ট রোকেয়া বেগম নামে এক রোগীকে ইকোকার্ডিওগ্রাফির রিপোর্ট দেওয়া হয় যেখানে ডা. রেজাউলের নাম উল্লেখ ছিল।
এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে বেসরকারি ল্যাবটির বিষয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ডা. রেজাউল করিমের নাম ব্যবহার করে সই ছাড়া রিপোর্ট দিয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫, ৫২ ও ৫৩ ধারা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ ভঙ্গ করেছে। এর আগে, একই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডেঙ্গু পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি গ্রহণের অভিযোগে ল্যাব সাময়িক বন্ধসহ কঠোর সতর্ক করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবের জেনারেল ম্যানেজার পুলক পারিয়াল বলেন, ‘ভুলবশত ওই চিকিৎসকের নামটা সরানো হয়নি। তবে রিপোর্ট তিনি দেননি, অন্য চিকিৎসক দিয়েছিলেন।’
শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।