সুদানে বিমান বাহিনীর হামলায় নিহত ২২

সুদানে বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলার তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানী খার্তুমের পাশের শহর ওমদুরমানের আবাসিক এলাকার গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) এ হামলা চালানো হয়েছে।

তবে আরএসএফ বলছে, হামলায় ৩১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তারা এ হামলার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের লাইন বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ নিয়ে আধা সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সেনাপ্রধান জে আব্দুল ফাতাহ আল বুরহান নেতৃত্বে চরমপন্থী সন্ত্রাসী মিলিশিয়া পরিচালিত ইচ্ছাকৃত বিমান হামলার তীব্র নিন্দা করছে আরএসএফ।

তবে এ নিয়ে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ওমদুরমানের দুই বাসিন্দা জানান, এটা বলা বেশ কঠিন আসলে কোন পক্ষ এ হামলার জন্য দায়ী। সেনাবাহিনীর বিমান এই অঞ্চলে ক্রমাগত আরএসএফের সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে এবং আরএসএফ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ড্রোন এবং বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সুদানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো। আগামীতে দেশটি কিভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিশেষ করে দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে তারা ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেন।

এছাড়া এক লাখ সদস্যের র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা এবং পরে নতুন এই বাহিনীর নেতৃত্বে কে থাকবে সে বিষয়ে দুই জেনারেলের মধ্যে মতবিরোধের জেরে লড়াই শুরু হয়। এর আগে গত মাসে খার্তুমে বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়।

এমএইচএফ