বৈরুতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর ওপর হামলা, বাংলাদেশসহ ৪০ দেশের নিন্দা

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় ইসরাইলের উপর চাপ প্রয়োগে ৪০টি দেশ একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে।

ফ্রান্স, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, চীন, ভারত, ইতালি, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যসহ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অবদান রাখা এই ৪০টি দেশ শনিবার জানিয়েছে, তারা শান্তিরক্ষীদের উপর সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।

পোল্যান্ডের জাতিসংঘ মিশনের এক্স হ্যান্ডলে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের অপরাধ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত এবং পর্যাপ্তভাবে তদন্ত করা উচিত’।

চিঠি অনুসারে, দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং তাদের ঘাঁটিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণ তুলে ধরা হয়। রোববার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

তবে এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী বাহিনীর ক্ষতি না করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চাপ দেওয়ার জন্য এই যৌথ প্রচেষ্টার জন্য ইসরাইলের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

A joint statement by 34 UNIFIL-contributing countries, initiated by 🇵🇱, urges to protect @UNIFIL_ peacekeepers.
We condemn recent incidents, call to respect UNIFIL’s mission & ensure the safety of its personnel.
pic.twitter.com/66q46Pu1RR

— Poland in the UN (@PLinUN) October 12, 2024
লেবাননে প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে নির্মূলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ভবনও। এ নিয়ে তিনবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা করেছে ইসরাইল। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও।

এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন তার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে লেবানন পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।

বিবৃতিতে বলা হয়, অস্টিন দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপর ইসরাইলের ক্রমাগত আক্রমণ এবং সেইসাথে লেবাননের দুই সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যের মৃত্যুর বিষয়ে গ্যালান্টের কাছে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।

পেন্টাগনের মতে, ইসরাইলকে দক্ষিণ লেবাননে তার সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অঞ্চলে একটি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার দিকে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিচ অস্টিন দৃঢ়ভাবে শান্তিরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।