৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ম্যাচে ডাচদের ১৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের জয়খরা কাটিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সেরা ৮ এ থাকাই ছিল টানা হারে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থাকা দলটির জন্য বর্তমান সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ বেশ ভারলাভাবেই মোকাবিলা করে সেরা আটে রইল জশ বাটলারের দল।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে সেরা ৮এ জায়গা করে নিয়ে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনাও টিকিয়ে রেখেছে তারা। এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলেও সাতে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। আর বাংলাদেশ এখন আটে।
ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৪০ রানের বিশাল লকোষ্য খেলতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই ঠিক সুবিধা করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস । প্রথম ৫ ওভারে রান উঠেছে ২ এর কিছু বেশি। সেই চাপ সামাল দিতে গিয়েই কিনা ক্রিস ওকসের বলে কাটা পড়লেন ম্যাক্স ও ডড। দলীয় ১২ রানে পতন ঘটে প্রথম উইকেটের। পরের ওভারেই ফিরে যান দলের বড় ভরসা কলিন অ্যাকারম্যান। ১৩ রানেই পতন ঘটে ২য় উইকেটের। এবার বোলার ছিলেন ডেভিড উইলি।
এরপর প্রাথমিক সংকট সামাল দেওয়ার কাজ করেন ওয়েসলি বারেসি এবং সাইব্র্যান্ড এংগেলব্রাখট। দুজন মিলে যোগ করেন ৫৫ রান। এই জুটি যখনই কিছুটা স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন বারেসি। ১০০ রানের আগেই পতন ঘটে ৪র্থ উইকেটের। উইলির দ্বিতীয় শিকার হন সাইব্র্যান্ড। ততক্ষণে অবশ্য পেরিয়ে গিয়েছে ২২ ওভার।
এরপর স্কট এডওয়ার্ডস নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছেন। জুটি গড়েছেন তেজা নিদামানুরুর সঙ্গে। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। ওটাই ছিল ডাচদের ভরসা। ১৬৩ রানে এডওয়ার্ডস আউট হলে ডাচদের হার হয়ে যায় ব্যাপার। ১৬ রানেই পতন ঘটে শেষ ৫ উইকেটের। ডাচটা গুটিয়ে যায় ১৭৯ রানে। ইংল্যান্ডের জয় আসে ১৮০ রানের ব্যবধানে।
এর আগে পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২০ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩২ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। এরপরই খেই হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। পরের ২০ ওভারে ৮৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ ১০ ওভারে স্টোকস ও ওকসের ব্যাটে আবারও লাগাম টানে ইংল্যান্ড।
দলীয় ৪৮ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। সেট হয়ে ফিরে যান জো রুটও (২৮)। অন্য প্রান্ত দিয়ে ওপেনার ডেভিড মালান ঝড়ো ব্যাটিং করে ৭৪ বলে খেলেন ৮৭ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১০টি চার ও দুটি ছক্কার শট আসে।
এরপরই ডাচদের উইকেট উৎসবের শুরু। হ্যারি ব্রুক (১১) ও জস বাটলার (৫) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। আউট হন মঈন আলীও (৪)। ইংল্যান্ড ১৯২ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৮১ বলে ১২৯ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন স্টোকস। ৪৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রান করেন ওকস। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন স্টোকস। ৮৪ বলে তার ১০৮ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৬টি করে চার-ছক্কার মার।
অবসর ভেঙে বিশ্বকাপে ফেরা উনিশে ইংরেজদের বিশ্বজয়ের নায়ক এতদিনে এসে চেনা ছন্দে ফিরলেন। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে তিনশ’ পেরোয় ইংল্যান্ডের পুঁজি। স্টোকসকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ফিফটি করা ওকস। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৯ রান।