জিকে শামীমসহ ৮ জনের মামলার রায় আজ

মানি লন্ডারিং মামলা

রাজধানীর গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য রয়েছে আজ।

রোববার (২৫ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করবেন।

মামলায় জি কে শামীমসহ আটজনের ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে জি কে শামীমের আইনজীবী আশা করছেন তিনি খালাস পাবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আজাদ রহমান বলেন, জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এ মামলায় সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছি।

জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর রহমান বলেন, জি কে শামীমকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই অবস্থায় এখন নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার জেরায় জি কে শামীমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করেছেন, তার প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী পাননি। পাঁচ হাজার ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা জেরায় স্বীকার করেছেন যে, জি কে শামীমের আয়ের সব টাকা সরকারি টেন্ডারের। যদি টেন্ডারের টাকা হয়ে থাকে, তাহলে তো টাকা সরকারের কাছে রয়েছে। যাদের কাজ করেছি, তাদের টাকা পরিশোধ করেছি। আমি আদালতকে এসব কথা বলেছি। তাই আমরা আশা করছি, রায়ে আসামি খালাস পাবেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে জিকে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর র‍্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে, ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর নামে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের নামে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। এরপর আজ (২৫ জুন) দ্বিতীয় কোনো মামলায় তাদের বিচার শেষ হতে যাচ্ছে।

এমএইচএফ