রুপালী লাইফ মধুমতি সার্ভিস সেলের জিএমের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বীমা গ্রাহকদের পলিসির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্স মধুমতি সার্ভিস সেলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে ইউএনও মোঃ মঈনুল হকের কাছে গ্রাহকদের টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপরও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে নানা রকম তালবাহানা করছে জিএম সাইদুর রহমান।

অভিযোগে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মিরাজ সেখ, মানিক হাওলাদার, মুর্শিদা বেগম, জাহানারা বেগম, শাহিনুর বেগম, সুমি, মমিনুজ্জামান, আইরিন আক্তার, এবং সাইদুর রহমান শেখ সহ একাধিক গ্রাহকের বিমার টাকা কোম্পানিতে জমা না দিয়ে ও গ্রাহকদের ভূয়া রশিদ দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন জিএম সাইদুর রহমান।

উপজেলার..গিমাডাঙ্গা… গ্রামের বাসিন্দা মিরাজ শেখ জানান, তিনি ২০২৩ সালে বাৎসরিক ৫১,৬৫০ টাকা প্রিমিয়ামে একটি পলিসি গ্রহণ করেন। চার বছরে কেবল একটি রসিদ পেয়েছেন। বাকি তিনটি রসিদ এখনও পাননি। মোট ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৫০ টাকার কোনো প্রমাণপত্র বা মোবাইল মেসেজও পাননি। এবিষয়ে অফিসে জানতে গেলে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারের সাইদুরের পালিত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাকে হয়রানি করে ও বিভিন্ন হুমকি দেয়।

…গহরডাঙ্গা…. গ্রামের বাসিন্দা আসলাম খান বলেন, তার বাৎসরিক পলিসির পরিমাণ ৫০,১৫০ টাকা। তিনি একটি প্রিমিয়াম জমা দেয়ার পরও কোনো রসিদ পাননি। তখন অফিসে গেলে প্রতিষ্ঠানটির জিএফ নাজিরুল শেখ মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়েছেন টাকা ফেরতের জন্য।

এছাড়া ..পেনাখালী…. গ্রামের মানিক হাওলাদার ও মুর্শিদা বেগম জানান, তারা একজন ৩৬ হাজার ৪১৪ টাকা ও অন্যজন ১২ হাজার ১৫২ টাকার পলিসি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এখনও তাদের কোন রসিদ দেয়া হয়নি।

ঐ কোম্পানির গ্রাহক জাহানারা বেগম, শাহিনুর বেগম, সুমি, মমিনুজ্জামান, আইরিন আক্তার সহ অনেক গ্রাহকেরা জানান, তাদের পলিসির অর্থ জমা দেওয়ার পরও রসিদ পাননি। আর তাদের টাকা মুল অফিসে জমা হয়নি। কারণ সেই টাকা জিএম সাইদুর রহমান আত্মসাৎ করেছে। তাই আমরা টাকা ফেরত পেতে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এবিষয়ে জানতে রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স মধুমতি সার্ভিস সেলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, গ্রাহকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তখন ইউএনও স্যার আমাকে তার কার্যালয়ে ডেকেছিলেন। আমি স্যারকে কথা দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে দিব। এছাড়া অন্যান্য গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, একাধিক গ্রাহকের পলিসির টাকা জিএম সাইদুর রহমান অফিসে জমা দেননি তার একটা তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।