বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.৫৬ বিয়িলন ডলারে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৫.৫৬ বিয়িলন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী (বিপিএম৬) ২০.৩২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের আমদানি বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে। আকু হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একটি আন্তঃ আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রফতানি হয়, তা প্রতি দুমাস পরপর নিষ্পত্তি করা হয়। এ ছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, মুদ্রানীতির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। এতে মূল্যস্ফীতি কমতে সময় লেগেছে। তবে নভেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। এদিকে বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৪১ শতাংশে, যা নভেম্বরে ছিল ৯.৪৯ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৯.৯৩ শতাংশ। একই সময়ে দুই ডিজিট থেকে ফের এক ডিজিটে নেমে এসেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারও। ডিসেম্বরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৫৮ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ১০.৭৬ শতাংশ এবং অক্টোবরে ১২.৫৬ শতাংশ। যদিও এর বিপরীতে বেড়ে গেছে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি, যা এ মাসে দাঁড়িয়েছে ৮.৫২ শতাংশে। গত নভেম্বর ও অক্টোবরে এ হার ছিল যথাক্রমে ৮.১৬ শতাংশ ও ৮.৩০ শতাংশ।