মন্ত্রিসভার শপথ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে, অতিথি ১৪০০

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শপথের পর তাদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। এ উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নিতে আসার জন্য ফোন দিয়ে জানানো হয়েছে। বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং নতুন আরও কয়েকজন সেই ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী থাকছেন। ২৫ মন্ত্রীর মধ্যে নতুন মুখ রয়েছেন ১২ জন। অন্যদিকে ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নতুন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন সাত জন। যদিও তাদের মধ্যে কয়েকজন আগে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। বিজয়ী দলের নেতা জাতীয় সংসদের নেতা নির্বাচিত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি  শেখ হাসিনা, উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। এদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, স্বতন্ত্র ৬২ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পায়। একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।