কক্সবাজেরর পেকুয়ার রাজাখালীতে বিজ্ঞ আদালতে মুচলেখা দেয়ার পরও বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করেছে ভুমিদস্যু ও দখলবাজ সিন্ডিকেট।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩জুলাই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নতুন ঘোনা গোদারপাড় স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, ওই এলাকার কামাল হোছাইনের ছেলে হোছাইন শহীদ সাইফুল্লাহ’র সাথে আবদুল মালেক এর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত কালা মিয়ার ছেলে মাহামুদুল করিম গং এর মধ্যে ১৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলতেছে। ওই বিরোধীয় জায়গা নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে দুপক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারি সংঘটিত হয়। যে কোন মুহুর্তে প্রাণহানির ঘটনা সংগঠিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী।
জায়গার প্রকৃত মালিক দাবীদার হোছাইন শহীদ সাইফুল্লাহ বলেন, রাজাখালী মৌজার ৩১৩ নং খতিয়ানের ১৫১৫৪ দাগে ১৫০ শতক জমির মালিক আজিজুল হক। বিগত ২০২২সালে ২২০৭ রেজি মুলে অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তার নামা হইতে আমি ৩১আগস্ট ২০২২ইং ২৪২০ নং সাব কবলা মুলে খরিদা সুত্রে ১৫০শতক জমির মালিক হই। যার সৃজিত খতিয়ান ৩৭৬২ চুড়ান্ত আছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছর অর্থাৎ ১৪৩২ বাংলা খাজনা পরিশোধ ও ডিসিআর সংগৃহীত আছে। এদিকে স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যুরা দীর্ঘ দিন ধরে আমার ক্রায়কৃত জমি জবর দখল করতে সন্ত্রাসী কার্মকান্ড চালালে, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি এম.আর মামলা দায়ের করি। যার মামলা ৬৯২/২০২৩ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার বরাবরে প্রেরণ করেন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের আলোকে বিজ্ঞ আদালতে বিবাদীগণদের বিরোধীয় জমিতে প্রবেশে চুড়ান্ত বারিত করে মামলা নিষ্পত্তি করেন।
এদিকে বিবাদীগণ আদালতের চুড়ান্ত বারিতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমির দখল উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠে।
এদিকে জায়গার প্রকৃত মালিক সাইফুল্লাহ
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলা দায়ের করেন। য়ার মামলা নং ৭১৮/২৪। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বিবাদী গণ আদালতে হাজির হয়ে উক্ত জমিতে অদূর ভবিষ্যতে প্রবেশ করিবেনা মর্মে মুচলেকা সম্পাদনের মাধ্যমে জামিন প্রাপ্ত হন।
পরধন লোভী, চিহ্নিত ভুমিদস্যু দখলবাজ সিন্ডিকেটের কোন জমি না থাকা স্বত্বেও ওই সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী আইনের কোন তোয়াক্কা না করে জমি দখলে নিতে পাঁয়তারা করে যাচ্ছে । এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সকালে আবদুল মালেক এর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত কালা মিয়ার ছেলে মাহামুদুল করিম, আকতার আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত কালা মিয়ার ছেলে কামাল হোছাইন, মৃত উকিল আহমদের ছেলে আবদুল খালেক, আবদুল হকের ছেলে মোঃ বেলাল, মৃত উকিল আহমদের ছেলে আবদুল হক ও মৃত নুরুল হকের ছেলে কবির হোছাইনের নেতৃত্ব দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রসহ ২০/২৫ জন অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আমার জায়গা জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে। এ বিষয়ে আইনি সহযোগিতা চেয়ে পেকুয়া থানাকে অবগত করেছি।
অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করা লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন , সাইফুল্লাহর জমিতে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে না। এগুলো মসজিদের জমি। মসজিদের নামে কাগজ পত্র আছে।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল মোস্তফার বলেন, জায়গাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলতেছে। বাদীর পক্ষে নিষেধাজ্ঞা বারিত আছে। তবে বিপক্ষের লোকজন এসব মানতে রাজি নয়।