খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ভোট দেওয়া শেষে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। জনগণ যে রায় দেবে, মেনে নেব।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে মহানগরের ২খুলন২ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ সেন্ট্রাল রোডে পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কেন্দ্রীয়ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
তালুকদার খালেক বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। খুলনার চলমান উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে মানুষ নৌকায় ভোট দেবে।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৪টার মধ্যে যারা কেন্দ্রে থাকবে তাদের ভোট নিতে হবে। ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হবে, দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ার আশা করছেন এই মেয়রপ্রার্থী। এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ভালো আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, কেন্দ্রে নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখছি। আশা করছি দুপুরের মধ্যেই ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ ভোটগ্রহণ হবে।
অনেক কেন্দ্রে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকায় সেই প্রার্থীদের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নৌকার প্রার্থী বলেন, কেন্দ্রে এজেন্ট না দিতে পারলে প্রার্থী হওয়া উচিত না। যারা নির্বাচন করবেন তাদের প্রত্যেক সেন্টার এজেন্ট থাকা উচিত। অথচ কিছু হলেই সরকার দলীয় প্রার্থীর দোষ হয়।
এবার কেসিসি নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডের দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কেসিসির মেয়র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি)।
এবারের নির্বাচনে কেসিসির মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভোটাররা ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কক্ষে ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
এমএফ