মেট্রোরেলের উদ্বোধনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে র্যাবের স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য দেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাবেন। ১০ মিনিটের এ যাত্রায় র্যাবের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা বহুতল ভবনে অবস্থান নেবেন। পাশাপাশি আকাশে টহল দেবে র্যাবের হেলিকপ্টার।
সূত্র জানায়, মেট্রোরেল উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলোতে নতুন বোর্ডার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, এলাকার সব বৈধ অস্ত্রধারীদের অস্ত্র থানায় জমা নেওয়াসহ সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির নির্দেশনায় আরও আছে- উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি এলাকায় কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে ২৯ ডিসেম্বরের আগে নতুন ভাড়াটিয়া উঠতে পারবে না। কোনো বাণিজ্যিক ভবনে ২৮ ডিসেম্বর নতুন কোনো অফিস, দোকান, রেস্তোরাঁ খোলা যাবে না।
এছাড়া উদ্বোধনের দিন মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনো ভবনের ব্যালকনি ও ছাদে কাপড় শুকাতে দেয়া যাবে না এবং কেউ ছাদে দাঁড়াতে পারবে না। ওইসব এলাকার ভবন বা ফ্ল্যাটে ওইদিন কোনো ছবি বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না। আর মেট্রোরেলের দুই পাশের সব ব্যাংক বা এটিএম বুথ ২৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।