ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার রোধে বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে: ভূমিমন্ত্রী

সোমবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ক কর্মশালায় এ তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ কর্মশালার আয়োজন করে।  শেষ সময়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এমন একটা মার্জিনাল সময়ের পড়েছিলাম যে, এটা না হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য এটা আমি করতে পেরেছি। একটা আইন পাস করার চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত অধীর আগ্রহে এই আইনটির অপেক্ষা করছিল। আমি স্যাটিসফাইড যে এই আইনটি করে যেতে পেরেছি।ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে। পাঁচ বছর মেয়াদে আন্তরিকতার সঙ্গে কিছু করার চেষ্টা করেছেন বলেও এসময় দাবি করেন ভূমিমন্ত্রী। মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি দাবি করতে পারি আমার জায়গা থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি এবং একটা ন্যূনতম স্যাটিসফ্যাকশন নিয়ে আমি যেতে পারছি। তিনি বলেন, আমার গত পাঁচ বছর সময়ে চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কিভাবে ব্যবহার করা যায়। এটা সব সময় আমার মাথায় রেখে ছিলাম বলে একটা স্যাটিসফেকশনের জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি।  ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে দাড় করানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলোকে যদি ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা সেইপে নিয়ে এসেছি। ভূমি উন্নয়ন কর আগে ম্যানুয়ালি ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন পর বাবদ ৫ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে- স্বীকার করে তিনি বলেন, অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ডট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কি পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ডট্যাক্স এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।  সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে আরও কাজ বাকি আছে।