তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’

আওয়ামী লীগপন্থী ১৫টি রাজনৈতিক দলের মোর্চা “প্রগতিশীল ইসলামী জোট” দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃণমূল বিএনপির “সোনালি আঁশ” প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে জোটটি। জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে শনিবার (১৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সালাম মাহমুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “প্রগতিশীল ইসলামী জোট আমাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছি। এটা নির্বাচনী সমঝোতা।” এ বছরের সেপ্টেম্বরে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে “প্রগতিশীল ইসলামী জোট” আত্মপ্রকাশ করে। ইসিকে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার জানান, প্রগতিশীল ইসলামী জোটের প্রার্থীরা তৃণমূল বিএনপির প্রতীক “সোনাশি আঁশ” ব্যবহার করবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ইসিকে অনুরোধ জানানো হয়। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত ১৪ দলীয় জোটে শরীক হয় তরিকত ফেডারেশন। সেই দলের মহাসচিব ছিলেন এম এ আউয়াল। তরিকত ফেডারেশন থেকে আলাদা হয়ে “ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি” গঠন করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। তার নেতৃত্বে গঠিত হয় প্রগতিশীল ইসলামী জোট। এই জোটের ১৫টি দল হলো– ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি), ইসলামী লিবারেল পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম। এই ১৫ দলের কোনোটিরই রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নেই। এ কারণে নির্বাচন করতে হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া কিংবা নিবন্ধিত দলের অধীনে মনোনয়ন নেওয়াই তাদের ভরসা। তৃণমূল বিএনপি সঙ্গে নির্বাচন প্রসঙ্গে এম এ আউয়াল বলেন, “আমরা নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে শরিক হচ্ছি। তাদের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবো। আসন বিন্যাস নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরও আলোচনা হবে।”