ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছিল। সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘হিরো আলমের উপর হামলার ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস।’
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান ইসি আলমগীর।
গতকাল ভোটগ্রহণ চলাকালে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে তার উদ্দেশে গালাগাল করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান। পরে, নৌকার ব্যাজধারী ব্যক্তিরা ধাওয়া দিয়ে তাকে বাইরে আনার পর রাস্তায় ফেলে পেটান।
এই হামলার ঘটনায় কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া গৃহীত ব্যবস্থা জানাতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে আজ ডিএমপি কমিশনারকে লিখিতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
একজন প্রার্থীকে নিরাপত্তা না দিতে না পারার ব্যর্থতা কার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সার্বিক দায়িত্বে থাকে। সরাসরি প্রটেকশন দেওয়ার সুযোগ তো কমিশনের নেই। কমিশনের পক্ষে এই প্রটেকশন দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সেটা পুলিশ কমিশনার দেখবেন, দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল কি না তা দেখা হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘প্রায় ৭০ থেকে ৮০টা জায়গায় নির্বাচন হয়েছে। সবখানেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’