সিলেট-রাজশাহীতে ভোট: সিসি ক্যামেরায় নজর ইসির

নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। গত কয়েকটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও দুই সিটির ভোট নির্বাচন ভবনে বসে পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ নিরবচ্ছিন্নভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

গত কয়েকটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও দুই সিটির ভোট নির্বাচন ভবনে বসে পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন। সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু সময় পর থেকেই নির্বাচন কমিশনাররা আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনে স্থাপিত মনিটরিং সেলে বসে ভোট পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। সঙ্গে অন্যান্য কর্মকর্তারাও সহযোগিতা করছেন।

সবমিলিয়ে অন্য ভোটের মতো এই দুই সিটিতেও নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম, ভোটদানে বাধাদানসহ গোপন বুথে অযাচিত মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে তৎপর ইসি।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন।

ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে, কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগ বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা কমিশনের নজরে পড়েনি।

ইসি জানায়, সিলেট সিটিতে ৩ হাজার ২০৪টি এবং রাজশাহীতে ২ হাজার ৫০০টি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। আর ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সিলেট সিটি এবং ১ হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটির ভোট নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, ‘অনিয়মের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে অতীতের চেয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পুরো সময় সিসি ক্যামেরায় নজর রাখা হবে। কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা।’

জানা গেছে, দুই সিটি নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুরো নির্বাচনী এলাকায় সাত জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরা।

এমএইচএফ