নড়াইলের কালিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আছিফুর রহমানের নেতৃত্বে দিনব্যপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কালিয়া পৌর এলাকার রহিম, তারেক মোল্যা ও হাফিজুর ওরফে হাবিসহ ৩ টি ভাটা, উপজেলার ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলামের বিলদুড়িয়ায় অবস্থিত ভাটা ও খাশিয়াল ইউনিয়নের পাটনা গ্রামে চৌধুরী আনিচুর রহমান এবং খায়রুল ইসলামের ভাটাসহ মোট ৬ টি ভাটার কাঁচা ইট নষ্ট করাসহ ড্রাম চিমনি ও ক্লিনিক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ভাটার মালিক হাফিজুর ওরফে হাবি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মিটিংয়ে ডেকে ২ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় আজ আমার ভাটা ভেঙ্গে দিল। আর যারা টাকা দিয়েছে তাদেরটা ভাঙ্গেনি। তিনি আরো বলেন, বিএনপি করায় তার ভাটা জেলা উপ পরিচালক আব্দুল মালেক ভেঙ্গে দিয়েছে। এ সময় ভাটার মালিক, শ্রমিক ও স্থানীয়রা আভিযানিক দলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হলে যৌথবাহিনী তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, কালিয়া উপজেলায় ৪৫ টি ভাটা রয়েছে। এর মধ্যে একটির বৈধতা আছে বাকি সব অবৈধ। আজকের অভিযানে ৬ টি ড্রাম চিমনির ভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোয় অভিযান হবে।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আছিফুর রহমান বলেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কালিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ টি ড্রাম চিমনির ভাটায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।