হাওরে ভ্রমণের সুব্যবস্থা না থাকায় মৌলভীবাজারে পর্যটক কমছে

সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও মৌলভীবাজার জেলায় হাওরে পর্যটনের কোনো বিকাশ ঘটেনি। সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ এখানে রয়েছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ হাওর হাকালুকি, কাউয়াদীঘির জলের গ্রাম ও হাইল হাওরের বাইক্কা বিল।

এ জেলার হাওরের শাপলা শালুক, পাখপাখালি আর জীববৈচিত্র্য হিজল, তমাল ও করচের বাগান মন হরণ করে পর্যটকদের। ট্যুরিজম সংশ্লিষ্টরা মনে করেন সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে পর্যটনে ভ্রমণ পিপাসুদের সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে এখানের ওয়াটার বেইজড ট্যুরিজম।

ইদানিং মৌলভীবাজারে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটা কমে গেছে। শুধু চা বাগান আর পাহাড় টিলা দেখে বিমোহিত হন না তারা। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি তাদের পরিকল্পনায় আছে।

মৌলভীবাজারের ট্যুরিস্ট গাইড মোতাহির আলম বলেন, শীত-বর্ষায় হাওরের ভিন্ন রূপ প্রকৃতি প্রেমিদের দুর্নিবার আকর্ষণে টেনে নিয়ে যায় হাওরের মাঠে ঘাটে বাঁকে। হাওরের সৌন্দর্য ভোগ করতে চান ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে ব্যবস্থাপনার ঘাটতি থাকায় আসছেন না তারা।

জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইকো ট্যুরিজমের উদ্যোক্তা সামছুল ইসলাম বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটক যারা আসেন তারা শুধু চা বাগান পাহাড় টিলা দেখে আকৃষ্ট হন না। হাওরাঞ্চলের আকর্ষণীয় স্থানগুলো দেখার জন্য তাদের আগ্রহ বেশি। ওয়াটার বেইজড ট্যুরিজমে সুব্যবস্থা না থাকায় তারা চাইলেও আমরা দেখাতে পারিনি। এতে আমরা লোকসানে পড়ি।

মৌলভীবাজারের পর্যটন সেবা সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমদ বলেন, মৌলভীবাজারের হাওরে পর্যটনের এ বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠতে পারে আর্কষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। তাহলে হাওরাঞ্চলের পর্যটন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। পর্যটনখাতে অনেক আয় হবে। ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকেই উদ্যোগি ভূমিকা রাখতে পারে। হাওরের সৌন্দর্যের প্রচার প্রচারণা চালালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত হাওর এলাকাও একদিন দেশি বেদেশি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিকল্পনা বিভাগের মো. মাহমুদ কবীর বলেন, ওয়াটার বেইজ ট্যুরিজমের বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় আছে। বিষয়টি এজেন্ডা ভুক্ত করা হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।