দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে অবিলম্বে ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি’ ঘোষণা ছাড়া বর্তমান অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার বিকল্প নেই। এতে বিদেশে পাচার করা এবং দেশে লুকায়িত অর্থ উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। তা অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
শনিবার সুপ্রিমকোর্টে ব্রিফিংয়ে দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি দেশের সমগ্র বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্দলীয় ফেডারেশন।
শাহ মো. খসরুজ্জামান বলেন, দেশের অর্থবাজার থেকে লক্ষ-কোটি টাকা উধাও এবং অনুৎপাদন খাতে বিনিয়োগ হওয়ার কারণে দেশ আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে হবে। এছাড়া করদাতাদের ওপর চাপ না দিয়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করার পথ বের করতে হবে।
এ লক্ষ্যে দেশের বিত্তশালী ব্যক্তি এবং করদাতাদের শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য ও গৃহায়ণ সম্পর্কিত সব ধরনের ব্যবসাসহ আমদানি ও রপ্তানি খাতে চলতি অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগ তথা ব্যবসায়িক নতুন মূলধনের ওপর কর মওকুফ করতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগকৃত মূলধন মেনে নিলে বিদেশে পাচারকৃত এবং এ দেশে লুকায়িত অর্থ ব্যবসার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ হবে।
এছাড়া বিনিয়োগকৃত অর্থ কর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে বৈধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য দেশের বিত্তশালী ব্যক্তিরা দারুণভাবে উৎসাহী হবেন। নতুন বিনিয়োগের ফলে দেশের উৎপাদন বাড়বে, ডলারের মূল্য হ্রাস পাবে, আমদানি ও রপ্তানি বাড়বে। নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমশ কমে আসবে এবং জনগণ হতাশামুক্ত হবে। ফলে সরকারের ওপর নাগরিকের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
তিনি আরও বলেন, কর আহরণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বর্তমান কর সংগ্রহের পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে হবে এবং দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ‘কর অফিসার’ নিয়োগ করে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করে আশু সংষ্কার করতে হবে। রাষ্ট্রকে অশিক্ষিত করে রাখার দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে সরকারের কাছে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান তিনি।