হাজার কোটি টাকা লুট করা চোরের টিকিটিও ধরতে পারে না সরকার- সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি)
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) জাতীয় স্থায়ী পরিষদের এক জরুরি সভা বুধবার শাহ আলীবাগ, মিরপুর- ১ ঢাকায় বিএসপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসপি’র চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। সভা পরিচালনা করেন বিএসপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার।
সভায় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সরকারকে মহাসচিব করা হয়। অতিরিক্ত মহাসচিব মুফতি খাজা বাকি বিল্লাহকে সহ-সভাপতি করে সাবেক সিনিয়র এএসপি আবুল কালাম আজাদকে অতিরিক্ত মহাসচিব করা হয়।
ঢাকা জেলার কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও ঢাকা জেলার আহবায়ক কমিটি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহ আলম অভি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক মোশারফ হোসেন মিয়া ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আফসার উদ্দিনকে করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় সভায় বিভিন্ন বিষয়ে চারটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে পার্টির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, দেশ আজ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না।
তিনি বলেন এই কথা মহান সংসদে দাঁড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বীকার করেছেন। দুর্নীতি নির্মূলে অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। শুধু একজন আরেকজনের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে দুই একজনের দুর্নীতির কথা প্রকাশ করলেই হবে না। দুর্নীতিতে সহযোগিতা কারীদেরও ধরতে হবে। যত শক্তিশালীই হোক সকল দুর্নীতিবাজের শ্বেত পত্র প্রকাশের মাধ্যমে তালিকা জনগণকে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্মার্ট দেশ গড়ার কনসেপ্ট প্রকাশ করলেও জনগণের কাছে পরিষ্কার করা হয় নাই, কোন রোড ম্যাপে কিভাবে দুর্নীতিবাজদের আস্ফলন বন্ধ করে দুর্নীতি মুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া হবে। দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তা জাতির কাছে পরিষ্কার নয়।
তিনি আরও বলেন পাঁচ, দশ হাজার টাকা কৃষি লোন নেয়া কৃষককে চোরের মতো হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।তাদের দুই তিন হাজার টাকা সুদ মাপ করতে পারে না অথচ কিছু লোক ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে ফেরত তো দেয় না, বরং বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার সুদ মাফ করে দেয়। হাজার কোটি টাকা লুট করা চোরের টিকিটিও সরকার ধরতে পারেনা। এই দ্বিচারিতাই প্রমাণ করে দেশে আইন সবার জন্য সমান নয়। অবিলম্বে জাতির কাছে পরিষ্কার করা হোক দুর্নীতিবাজদের অর্থ ও পাচারকৃত অর্থ কিভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে।
বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের একশ্রেণীর মানুষ কষ্টে আছে।তাদের কষ্ট লাগবে বাজেটে তেমন কোন উদ্যোগ আমরা দেখি নাই । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে অবস্থায় পৌঁছেছে, এখন সাধারণ মানুষ ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ, বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসার বিল যোগাতেই গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছে। তাই মধ্যবিত্তরা অনাহারে, অর্ধ হারে দিন কাটাচ্ছে। তারপরে আবার মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল। এই অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। তিনি বলেন দেশে আইনের শাসন থাকলে ব্যাংকগুলো এবং সরকারি সম্পদ এভাবে হরিলুট হতো না। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি অতীতের ন্যায় সুশাসন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসপি জাতীয় স্থায়ী পরিষদ সদস্য, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, মো. মনির হোসেন মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. শামসুল আলম বকুল, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. আসলাম হোসাইন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, মিরানা জাফরিন চৌধুরী, সীমা আক্তার, অ্যাডভোকেট শাহ আলম অভি।