সাতকানিয়ায়-দলিল জালিয়াতি চক্রের প্রধান হোতা গ্রেফতার

 সাতকানিয়া উপজেলার দলিল জালিয়াতি চক্রের প্রধান হোতাকে গ্রেফতার করছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি সাতকানিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভোয়ালিয়া পাড়া এলাকার মরহুম আবদুল গফুর চৌধুরীর ছেলে মো: জহির উল্লাহ(৫০)। ৭ই জুন(শুক্রবার) ভোররাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার আমবাগান আবাসিক থেকে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন সাতকানিয়া থানা পুলিশ। সাতকানিয়া থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম বলেন, জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে জহির উল্লাহ নামে এক আসামীকে গ্রেফতারপূর্বক চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে মামলা বাদী মো:আমান উল্লাহ বলেন, আমি কোলে কাধেঁ নিয়ে মানুষ করছি। এরকম আমার আপন ছোট ভাই জহির উল্লাহ আমার নিজ নামে খরিদ করা জায়গার দলিলে তার নাম বসিয়ে ওই জায়গা আবার আরেকজনকে জালিয়া করে বিক্রি করে দেয়,এবং আমাকে ওই জায়গায় গেলে সরাসরি মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এতবড় জালিয়াতির বিষয়ে আমি চট্টগ্রাম চীফ জ্যুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে, মাননীয় আদালত চট্টগ্রাম জেলা সিআইডিকে তদন্ত করার আদেশ দেন। পরে সিআইডি তা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন মর্মে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। মাননীয় আদালত তা গ্রহণ করে সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। এরপর থেকে চতুর এই জালিয়াতি চক্রের প্রধান হোতা আমার ছোট ভাই জহির উল্লাহ পলাতক ছিলেন। কিন্তু গতরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলশী থেকে তাকে সাতকানিয়া থানার এএসআই সাদ্দাম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে  গ্রেফতার করেন। আমি আশাকরি অন্যান্য আসামিরাও অতি দ্রুত গ্রেফতার হবেন। এদিকে তিনি আরো বলেন, শুধু এটা জালিয়াতি করছে এটা নয়, তার বিরুদ্ধে একই রকম জালিয়াতির বিষয় নিয়ে আমি আরেকটা মামলা দায়ের করেছি সেটাও আদালতের আদেশমত সাতকানিয়া থানার এসআই রাজুর হতে তদান্তধীন। এদিকে ভোয়ালিয়া পাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন,এই জহির উল্লাহ ঘরে বাইরে অনেকদিন ধরেই এই জালিয়াতি কাজকারবার করে আসছেন কিন্তু আজকেই এই জালিয়াতির কারণে তাকে জেলে যেতে হলো।
তারা আরো বলেন, সে কিছুদিন আগে এই জালিয়াতি কর্ম আমাদের কাউন্সিলর আরাফাত উল্লাহ এর সাথেও করেছিল।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য কাউন্সিলর আরাফাত উল্লাহকে কল করা হলে -তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।