দেশের বাজারে ১৩ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমল। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। বুধবার (২০ মার্চ) থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
এর আগে গত ৭ মার্চ স্বর্ণের দাম রেকর্ড গড়ে দেশে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয় এক লাখ ১২ হাজার ৯০৭ টাকা। দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো হয়নি।
মঙ্গলবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে এক লাখ ছয় হাজার ১৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৮১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ছয় টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৭ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১২ হাজার ৯০৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৯৯ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯২ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৬ হাজার ৯৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
অবশ্য স্বর্ণের গয়না কিনতে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি অর্থ দিতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গয়না বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা।