হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আমির খান ও কিয়ারা আদভানি অভিনীত বিজ্ঞাপনটি তুলে নিল এইউ স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিজ্ঞাপন ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। বিতর্ক এড়াতে এইউ ব্যাংক বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিল।
বিজ্ঞাপনটি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তিনি জানান, বিজ্ঞাপনটি নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। তিনি আমির খানের কাছে অনুরোধ করেন, ভারতীয় ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে বিজ্ঞাপনে কাজ করতে। কারো ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো কাজে অংশ না নিতে।
বিজ্ঞাপনটি নিয়ে সরব হয়েছিলেন ‘কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেকরঞ্জন অগ্নিহোত্রীও। বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের ‘মূর্খ’ বলতেও ছাড়েননি তিনি।
তিনি লেখেন, ‘আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, ব্যাংক কবে থেকে সমাজ এবং ধর্মীয় প্রথাকে বদলানোর দায়িত্ব নিল! আমার মনে হয়, কিছু করতে হলে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যে দুর্নীতি রয়েছে তা দূর করা উচিত। মূর্খ।’
বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, ‘বিদাই’ হওয়ার পর নতুন বউ কিয়ারাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন আমির খান। আমিরকে বলতে শোনা যায়, ‘এই প্রথম দেখলাম, বিদাই হয়ে গেল অথচ নতুন বউ কাঁদছে না।’ তখন কিয়ারা উত্তরে বলেন, ‘তুমিও তো কাঁদছ না।’
পরের দৃশ্যেই বাড়ি পৌঁছে নতুন বউকে আমির বলেন, ‘এই ঘরে প্রথম পদক্ষেপ কে রাখবে?’ কিয়ারার পাল্টা প্রশ্ন, ‘এই ঘরে নতুন কে?’। আমিরের উত্তর, ‘আমিই তো নতুন।’ ঠিক তখনই কিয়ারা হাতের ইশারায় আমিরকে ঘরে পা রাখতে বলেন। আমিরও সেই মতো পা রাখেন।
অপরদিক থেকে বিজ্ঞাপনে কিয়ারার মাকে বলতে শোনা যায়, ‘নতুন জামাইকে স্বাগত।’ কিয়ারাও আমিরকে ধন্যবাদ জানান এতবড় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। অপরদিকে তখন হুইল চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় আরও এক প্রবীণ ব্যক্তিকে। এরপরই ব্যাকগ্রাউন্ডে আমির খানের ভয়েস ওভারে শোনা যায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে যে প্রথা চলছে, সেটাই চলতে থাকে। কেন এমনটা হয়? সে কারণেই ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্ত প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলব। যাতে আপনারা সেরা পরিষেবাটাই পান।’