মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও তফসিলের প্রতিবাদে আগামী ২২ ও ২৩ নভেম্বর (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ষষ্ঠবারের মতো দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সোমবার (২০ নভেম্বর) ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা দেন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ও সমমনা দলগুলোও এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়। এর প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলের মহাসচিবসহ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। আর গতকাল রবিবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত হরতাল দেয় দলটি। এখন আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষিত হলো। রাজনৈতিক বিরোদপূর্ণ পরিস্থিতিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদের ভোটগ্রহণ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি, নিবন্ধনহীন দুয়েকটি ছোট দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অন্যদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও তফসিল বাতিলের দাবিতে হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপি বলছে, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি জাতীয় নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে হয়েছে; এই নির্বাচন দুটিকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।