রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে সকাল থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে অসংখ্য গাড়ি ঢুকে রাজধানীতে। এতে সকালে রাজধানীতে গাড়ির চাপ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা প্রচণ্ড যানজটে রূপ নেয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দুই দলের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতির কারণে জট সৃষ্টি হচ্ছে বেশি।
সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমে গেছে। গণপরিবহনের সংখ্যাও কম। ফলে সকালে যাদের অফিস ছিল তারা যথাসময়ে পৌঁছাতে হিমশিম খেয়েছেন।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীতে প্রবেশের সব কয়টি পথে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে যাত্রীদের। এছাড়া সাভারের মহাসড়কগুলোতে গণপরিবহন তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে।
বাসযাত্রী শহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারের পৌঁছালে বাস ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। তিনি সকালে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন। কিন্তু বলিয়াপুর যাওয়ার পরপরই যানজট সৃষ্টি হয়। পরে বাধ্য হয়ে হেঁটেই অফিসের দিকে রওনা হন।
দীর্ঘ যানজটে বসে থাকার পর অনেক যাত্রীকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। এছাড়াও আমিনবাজার সালেপুর ব্রিজের নিচ থেকে নৌকা যুগে গাবতলী পর্যন্ত যাতায়াত করতে দেখা গেছে অনেককেই।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহ বলেন, ঢাকায় আদালত চত্বর থেকে যে দুই জঙ্গি পালিয়েছিল তাদের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা এদিক দিয়েই যেতে পারে। তাই জঙ্গি ধরতে চিরুনি অভিযান চলছে। ঢাকার প্রবেশমুখ আমিনবাজার, বিরুলিয়া ও আশুলিয়ায় চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে ভোর থেকেই বলে জানান তিনি।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে ঢাকার রাজনীতিতে আজ বাড়তি উত্তাপ। এরই প্রভাব পড়েছে রাজধানীবাসীর মধ্যেও। বিভিন্ন সড়কে আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা যেমন কম, মানুষের যাতায়াতও কিছুটা সীমিত।
সকাল সাড়ে ১০টায় চানখাঁরপুল এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। শিক্ষা ভবন, হাইকোর্ট ও প্রেস ক্লাব এলাকার সড়কেও ছিল না যানবাহনের বাড়তি চাপ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) চানখাঁরপুলে হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশপথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকা আব্দুল আজিজ বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ি কম। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও কম। দুই দলের সমাবেশের কারণে হয়তো গাড়ি কম চলাচল করছে।
এদিকে বাস চালকরাও বলছেন, সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম থাকলেও সমাবেশে আসা মানুষ ভর্তি ট্রাক, বাস আর মিছিলের কারণে বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে।
এমএইচএফ