১ সপ্তাহেও খোঁজ মেলেনি পিরোজপুরে নিখোঁজ ৪ ছাত্রীর

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুই কলেজ ও দুই স্কুলছাত্রী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ চার ছাত্রীর অভিভাবকরা মঠবাড়িয়া থানায় পৃথক পৃথক জিডি করলেও গত সাত দিনে তারা উদ্ধার হয়নি।

নিখোঁজ ছাত্রীরা হলেন মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও উপজেলার সবুজনগর গ্রামের গনি মাঝির মেয়ে লিপি আক্তার, একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও সবুজনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাঝির মেয়ে আমেনা আক্তার, মঠবাড়িয়া সরকারি হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বায়েজিদ আহম্মেদের মেয়ে ফারিয়া সিদ্দিকা এবং গুলিসাখালী সগীর মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের সাহাদাৎ মোল্লার মেয়ে মাহাফুজা আক্তার।

নিখোঁজ ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, ওই ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবল ও উচ্চ লাফসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতো। এতে উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করে কলেজছাত্রী লিপি, আমেনা এবং স্কুলছাত্রী ফাবিয়া সিদ্দিকা জেলা-বিভাগসহ জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতো।

কলেজছাত্রী লিপি আক্তারের মা ফরিদা বেগম জানান, তার মেয়ে ও মেয়ের বান্ধবী আমেনা আক্তার খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায়ই বাড়ি থেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ৩-৪ দিন থাকার পর আবার বাড়িতে ফিরে আসতো। কিন্তু গত ৩০শে এপ্রিল বাড়ি থেকে যাওয়ার পর তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

স্কুলছাত্রী মাহফুজার পিতা শাহাদাৎ মোল্লা জানান, নিখোঁজের কয়েকদিন পূর্বে কলেজছাত্রী লিপি আক্তার তাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৭ দিন থেকে আসে। পরে ৩০শে এপ্রিল সকালে তার মেয়ে প্রাইভেটের কথা বলে বাড়ি থেকে স্কুল আসে। কিন্তু পরবর্তীতে আর বাড়িতে ফিরেনি।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় পৃথক পৃথক ডায়েরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থী নিখোঁজের ব্যাপারটি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।