গাজার উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক সপ্তাহে তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। শরণার্থী শিবির, আশ্রয় কেন্দ্রও ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস অভিযোগ করেছে, ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনও ত্রাণ পৌঁছায়নি।
একইসঙ্গে গোষ্ঠীটি বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের নিষ্ঠুর আচরণ কোনও ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। শনিবার (১৯ অক্টোবর) টেলিভিশন বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
সামি বলেন, ইসরাইল উত্তর গাজায় এমন অপরাধ চালাচ্ছে যা ‘যে কোনও ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
তিনি আরো বলেছন, ইসরাইল ‘তার অপরাধ ও প্রতিদিনের গণহত্যার আলামত লুকানোর জন্য’ সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
হামাসের এই নেতা বলেন, ‘দখলদাররা উত্তর গাজায় মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।’
এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সত্য হলো, মধ্য গাজায় মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা পুনরায় বলছি, ১৫ দিনেরও বেশি দিন ধরে উত্তর গাজায় কোনও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
এদিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির গাজার কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্তোইন রেনার্ড জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় সাধারণ মানুষ ভয়ঙ্কর অনাহারে রয়েছেন। সেপ্টেম্বরে তাদের ত্রান সহায়তা সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত এটি বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থা।
তিনি আরো বলেন, ‘উত্তর গাজায় নতুন সামরিক অভিযানের কারণে ১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন খাদ্য সহায়তা দেওয়ার অবস্থায় ছিল না। ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম’।