শীতকাল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই হার্টের রোগীদের এই মরসুমে সতর্ক থাকা জরুরি। তবে শীতকাল বলে নয়, হার্টের সমস্যা থাকলে সব ঋতুতেই সাবধানে থাকতে হবে। হার্ট অ্যাটাক মাঝেমাঝে নিঃশব্দ ঘাতকের রূপ ধারণ করে। সব সময় যে আগে থেকে হার্ট অ্যাটাকের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাবে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় নিঃশব্দেও ঘটতে পারে বিপদ। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি এড়িয়ে গেলেও চলবে না। কারণ, হার্টের যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়াটা জরুরি। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করলে অনেকেই বুঝতে পারেন না সেই মুহূর্তে কী করা উচিত। ফলে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তাই কিছু লক্ষণ দেখা দিলে সামলানোর উপায়ও জেনে নেওয়া জরুরি।
১) বাড়িতে রয়েছেন। হঠাৎই বুকে ব্যথা শুরু হল। সেই মুহূর্তে বেশি হাঁটাচলা না করাই শ্রেয়। একটা জায়গায় চুপ করে বসে থাকতে হবে। বুকে ব্যথা হলে উদ্বেগ না নেওয়াই ভাল। তা হলে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। শান্ত হয়ে বসে থাকা জরুরি। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকলে নিজেকেই এক বার চিকিৎসককে ফোন করতে হবে।
২) হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি লক্ষণ হল শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। সেই সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। এমন ক্ষেত্রে রোগীকে প্রাথমিক ভাবে ‘সিপিআর’ দেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে দক্ষ কাউকে দরকার। সেই মুহূর্তে পেশাদার কাউকে না পেলে তাঁর থেকে সিপিআর দেওয়ার পদ্ধতিটি জেনে নিন।
৩) বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘামের মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলে ‘অটোমেটেড এক্সটারনাল ডিফাইব্রিলিওটর’(এইডি)-এর সাহায্যে হৃদ্স্পন্দন পরীক্ষা করা জরুরি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পেশাদারকে প্রয়োজন। তাই এমন উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে ফোন করা জরুরি।
৪) বুকে ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ— এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। বুকে ব্যথা অন্য অনেক কারণে হতে পারে। তাই বুকে ব্যথা, অস্বস্তি হলে আতঙ্কিত হবেন না। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।