মাত্র কয়েকমাস আগে ইরানে খুন হয়েছিলেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তার জায়গায় হামাসের নতুন প্রধান হয়েছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বুকে অতর্কিত বিস্ময়কার হামলার মূল পরিকল্পক ভাবা হয় সিনওয়ারকে।
বুধবার দক্ষিণ গাজার রাফাহর এক ভবনে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে নিহত হন সিনওয়ার। তার মৃত্যুতে লেবাননে লড়াইরত ইরানপন্থি হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নতুন পর্বে প্রবেশ করতে যাচ্ছে তারা। ইরানের মিত্র এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে ‘গাইডেড’ ক্ষেপণাস্ত্র। এতোদিন এই অস্ত্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেনি তারা।
আজ এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ডেইলি সাবাহ।
শুক্রবারে সকালে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একটি নতুন পর্ব শুরু হচ্ছে। এখন থেকে ইসরাইলি তারা সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইসরাইলি শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধে একটি নতুন এবং ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। প্রথমবারের মতো নির্ভুল নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে, গত ১ অক্টোবর লেবাননে স্থল আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ৫৫ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া একইসঙ্গে কমপক্ষে ৫০০ জনেরও বেশি ইসরাইল সেনা ও অফিসার আহত হয়েছে।
এর আগে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, গত বুধবার পরিচালিত এক অভিযানে হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন এবং তার মরদেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি নিশ্চিত করেন, সিনওয়ার রাফাহের তাল আল-সুলতান এলাকায় নিহত হয়েছেন।