সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিভল সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের আগুন

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে থাকা সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিভেছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার কিছু সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন অগ্নিদগ্ধসহ চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ১২ জন পুলিশ সদস্য এবং দুজন জাহাজের কর্মচারীর পরিচয় মিলেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—কনস্টেবল শওকত, দ্বীপ সিকদার, পলাশ মোল্লা, মো. মেহেদী, নকীব, সাইফুল, লিপন গাইন, এএসআই গণেশ, এসআই আব্দুলদ হাকিম, নায়েক সিদ্দিক, এসআই মোস্তফা কামাল এবং এটিএসআই হেলাল উদ্দিন। এ ছাড়া জাহাজের একজন সুকানি শরিফ আহমেদ এবং আরেকজন বাবুর্চি আহত হন। আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল এবং ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহতরা হলেন- জাহাজের গ্রিজারম্যান আব্দুস সালাম হৃদয়, মাস্টার ইনচার্জ রুহুল আমীন খান, সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল এবং ড্রাইভার সারোয়ার হোসেন।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক ফিরোজ কুতুবী জানান, জাহাজটিতে আর কোনো তেল অবশিষ্ট নেই। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার পর সব পুড়ে আগুন নিভে যায়। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অগ্নিনির্বাপণে বরিশাল বিভাগে মজুত থাকা সব ফোম ব্যবহারের পর খুলনা থেকেও ফোম নিয়ে আসা হয়। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে তেল পুড়ে নিঃশেষ হয়ে মঙ্গলবার ভোরে অবশেষে আগুন নিভেছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এরআগে শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে বিকট শব্দে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুরো জাহাজে আগুন লেগে যায়। এতে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হন এবং চারজন শ্রমিক নিখোঁজ হন। পরে দুই দিন অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটি ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তেল নিয়ে চাঁদপুরে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে যাওয়ার পথে ভোলার তুলাতুলি কাঠিরমাথা এলাকায় ডুবে গিয়েছিল। এছাড়া ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর সুগন্ধা নদীর একই স্থানে একই কোম্পানির সাগর নন্দিনী-৩ জাহাজটিতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন।

এমএইচএফ