দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর সেরা পারফরম্যান্স বেরিয়ে এলো আয়ারল্যান্ডের। ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা সিরিজে শেষটায় হারলে হোয়াইটওয়াশ হতে হতো তাদেরকে। শেষ ওয়ানডেতে দারুণ পেশাদার পারফরম্যান্স দিয়ে মান বাঁচালো তারা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৯ রানে হারিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার তাদের বিপক্ষে জিতলো আইরিশরা।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৪ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়ারা থেমে যায় ২১৫ রানে। তাদের জয়ের নায়ক অভিজ্ঞ ওপেনার পল স্টারলিং। ৯২ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। ২০২১ সালে মালাহিডে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তিন বছর পর দেশের বাইরে অ্যাওয়ে সিরিজে প্রোটিয়াদের বধ করলো তারা।
ওপেনিংয়ে আয়ারল্যান্ড দারুণ ভিত পায়। অ্যান্ডি বালবিরনে ও পল স্টারলিং ১০১ রানের জুটি গড়েন। ২৩.২ ওভারে তাদের এই জুটি বড় সংগ্রহের পথে তাদের এগিয়ে নেন। বালবিরনে ফিফটি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। স্টারলিং তুলে নেন ফিফটি। এরপর সেঞ্চুরির পথেও এগিয়ে যান। কিন্তু ১২ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। বার্টমানের বলে বোল্ড হয়ে তার ম্যাচজয়ী ইনিংসটি শেষ হয়।
এরপর দলের হাল দলের কুর্টিশ ক্যাম্ফার, হ্যারি টেক্টর। ক্যাম্ফার ৩৬ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নিলেও টেক্টর ৪৮ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে অবশ্য প্রোটিয়াদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে শুরুর মতো রান তুলতে পারেনি আইরিশরা। লরকান টাকার করেন ২৬ রান। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে পেসার লিজাড উইলিয়ামস ৪ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন বার্টমান ও ফিকোযাও।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ রানে ৩ উইকেট এবং ৭৯ রানে অর্ধেক ব্যাটসম্যানকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটা তখনই আয়ারল্যান্ডের ভাগ্যে চলে আসে। সেখান থেকে জেসন স্মিথ ৯১ রানের ইনিংস খেলে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন। কিন্তু তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন কাইল ভারানে। ২১৫ রানে থেমে যায় তাদের যাত্রা। যা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
৩টি করে উইকেট নিয়েছেন গ্রাহাম হুমে ও ক্রেইগ ইয়ং। ২ উইকেট পেয়েছেন মার্ক আডায়ার। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতায় উচ্ছ্বসিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ জিতে আয়ারল্যান্ডের মুখেও হাসি ফুটেছে। ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন লিজাড উইলিয়ামস।