ঢাকা: শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহানবমী। সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা শেষে যথারীতি পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় থাকবে আরতি।
সনাতন শাস্ত্রমতে মহানবমী হলো অসুরিক শক্তি বধের বিজয়ের দিন। সনাতন ধর্মে দুর্গা নবমীর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। মহা নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার আরাধনার গুরুত্বও অনেক।
শ্রী শ্রী চণ্ডী অনুযায়ী, দুর্গা রুদ্ররূপ (মা কালী) ধারণ করে মহিষাসুর এবং তার তিন যোদ্ধা চণ্ড, মুণ্ড এবং রক্তবিজকে হত্যা করেন। নবমী তিথি শুরুই হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। সন্ধিপূজা হয় অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর সূচনার প্রথম ২৪ মিনিট জুড়ে। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা হয় এই সময়ে। ১০৮ মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে।
নবমীর আরও একটি বিশেষত্ব হলো হোম যজ্ঞ। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া নবমীতেই মূলত হোম হয়ে থাকে। এতে ২৮টা বা ১০৮টা নিখুঁত বেলপাতা লাগে। বালি দিয়ে যজ্ঞের মঞ্চ বানিয়ে বেলকাঠ ঠিকভাবে নিয়ম মতো সাজিয়ে পাটকাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে ঘি’তে চুবিয়ে বেলপাতাগুলো নিবেদন করা হয়। তারপর সবার শেষে একটি কলা চেলীতে বেঁধে পান নিয়ে সেটা ঘি’তে চুবিয়ে পূর্ণাহুতি দেওয়া হয়। তারপর তার মধ্যে দই দেওয়া হয় ও দুধ দিয়ে আগুন নেভানো হয়।
তাছাড়া,নবরাত্রির নবমীতে দুর্গার ৯টি রূপ হিসেবে মেয়েদের পূজা করে খাওয়ানোর রীতিও রয়েছে।
সারা বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে উৎসবের জন্য অপেক্ষা করা হয়, তার বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় এই নবমী নিশি। মহানবমীর দিনেই দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার সময়।
আগামীকাল বিজয়া দশমীতে বিদায় নেবেন দেবী দুর্গা।