যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় শত্রুপক্ষ আন্তরিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা ওসামা হামদান।
হামাস নেতার মতে, শত্রুপক্ষ এমন পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে চায়, যাতে তারা নিজেদের বিজয়ী হিসেবে দেখাতে পারে। তবে তারা আসলেই শান্তি আলোচনায় আন্তরিক নয়।
শনিবার (২ নভেম্বর) শেহাব নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানিয়েছে।
হামদান বলেছেন, ‘ইতিহাস প্রমাণ করে যে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী ও প্রতিরোধ সংগঠনের সদস্যরা কখনোই আত্মসমর্পণ করে না’।
একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘ইসরাইলি শত্রুরাও জানে যে তারা ফিলিস্তিনি জনগণ ও হামাসের ইচ্ছাশক্তি ভাঙতে সক্ষম নয়’।
যে কোনো পরিকল্পনা অবশ্যই যুদ্ধের চূড়ান্ত অবসান নিশ্চিত করতে হবে এবং তা কোনো সাময়িক যুদ্ধবিরতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তিনি যোগ হামদান।
হামাসের এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নতুন মুখ আসলেও, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সমর্থন যুদ্ধবাজ ইসরাইলি দখলদারদের পক্ষেই অপরিবর্তিত থাকবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৩,০০০-এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও গাজার প্রায় ৮০ ভাগ আবাসিক এলাকা এবং অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজায় যুদ্ধ শুধুই দুর্ভিক্ষ ও অভূতপূর্ব দুর্দশা নিয়ে এসেছে, যা সেখানকার মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরাইল এই প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে। এর ফলে গাজার প্রায় সমস্ত জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং খাদ্য, পানি, ওষুধসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অবরোধের ফলে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের উদ্যোগ সত্ত্বেও, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই প্রচেষ্টা সফল হতে পারেনি।
এদিকে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলা শুরু হয়েছে। সূত্র: মেহের নিউজ