রোপা আমন ধানের সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষক-কৃষাণীর স্বপ্ন

 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে রোপা আমন ধানের সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষক-কৃষাণীর স্বপ্ন। ধানের সোনালি শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠছে কৃষক-কষাণীর মন। যেন স্বপ্ন হারিয়ে যায় সোনালী মাঠে। দিগন্ত জোড়া সোনালী ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

হেমন্তের ঝিরঝির বাতাসে শীতের আগমনে রোপা আমন ধানের সোনালি ঢেউ উপজেলার সকল কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। আর এমন সোনালি সমুদ্রের ঢেউয়ে দুলে উঠছে সোনালী প্রকৃতি।

মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষক‌ কৃষাণীদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। নতুন স্বপ্নে ভরে উঠবে সংসার।ছেলেমেয়েদের জন্য আনবে নতুন জামা।পায়েস-পিন্নির পড়বে ধুম।ফলে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার১৩টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ২২৪১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার অতি বৃষ্টিতে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪৭৮২ মেঃ টন। কৃষকরা রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন।

এ বছর সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় দেরীতে রোপা আমন চাষ হলেও ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে।ধানের‌ সবল-সতেজ চারা এবং শীষ বের হয়েছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে সোনালি ধানের শীষের সমারোহ। ধানের প্রতিটি ক্ষেতে সোনালী শীষ দুলছে। আগাম ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত রোপা আমন ধান অনেক ভালো হয়েছে। উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক মুজিবুর, মিলন, রোকন উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, আবুল কাশেমসহ অনেকেই বলেন, চলতি বছর ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি আমরা। আর কয়দিন পরেই ফলন ঘরে তুলতে পারব।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান,এবার অতি বর্ষণে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এতে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

তারপরও রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।