রাজশাহীতে সবজির বাজারে স্বস্তি , কমেছে মাছ মাংসের দাম

 

রাজশাহীতে সবজির বাজারে প্রচুর শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সব ধরনের সবজি বাজারে আসতেও শুরু করেছে। সে কারণে দামও কমেছে।’এক সপ্তাহ আগের তুলনায় কিছু সবজির দাম কেজিপ্রতি অর্ধেকে নেমে গেছে।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, ‘অনেকদিন পর সস্তায় সবজি কিনতে পারছি। সবজির দাম যেভাবে কমেছে— একইভাবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাও জরুরি।’ অনেক নিত্যপণ্যের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

রাজশাহীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়,এক সপ্তাহ আগে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি। ১২০ টাকা কেজির শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি,৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মূলা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজিতে। ৮০ টাকা কেজির বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি থেকে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে। আর ৩০ টাকা কেজির পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজিতে।
আমদানির খবরে আলুর দাম বাজারে প্রতি কেজিতে ১০ -২০ টাকা করে কমে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে, যা সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০-৮০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সের কেজি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, করলা ৮০- ১০০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, উস্তে ৮০ টাকা থেকে ৫০-৬০টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শীতকালীন সকল সবজির দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।

এছাড়াও মাছ, মুরগির বাজারেও দাম কিছুটা কমে এসেছে। সপ্তাহ ভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা কেজি দরে। পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা থেকে কমে ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে কমে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। চিংড়ির দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। মাঝারি মানের রুই ও মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা। বড় রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কম।