রংপুরের পীরগাছায় এমদাদুল হক হত্যা মামলায় আত্বগোপনে থাকা আসামি জাহিদুল ইসলামকে ২৩ জুন রবিবার রাতে দিনাজপুরের খানসামায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব ১৩ এর সদস্যরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত মে মাসে ওই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ১৩ এর উপ পরিচালক মিডিয়া স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ২৫ মে রংপুরের পীরগাছার গঙ্গানারায়ন গ্রামে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো ছোরা, লাঠি, লোহার রডসহ আশরাফুজ্জামানের বাড়ীতে প্রবেশ করেছিল একদল প্রতিবেশী। গৃহকর্তা আশরাফুজাম্মান (৪১) ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায় তারা। গলা চিপে ধরায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছিল আশরাফুজ্জামান । তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে বড় ভাই এমদাদুল হক (৪৮)। এসময় তার বড় ভাইয়ের উপর হামলে পড়ে আক্রমনকারিরা। রড এবং লাঠির আঘাতসহ ধারালো ছোরার কোপে এমদাদুল হকের শরির মাথা এবং চোখ ক্ষতবিক্ষত করে তারা। আশংকাজনক অবস্হায় প্রথমে তাকে পীরগাছা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে থেকে নেওয়া হয়। অবস্হা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে পরদিন ২৬ মে প্রাণ হারান এমদাদুল হক।
হামলা এবং হত্যাকান্ডের ঘটনায় আবুল কাশেমে স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৮), বড় ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪০) এবং পুত্রবধূ লিপি বেগম (৩৫) এবং আরেক ছেলে জাফর ইকবাল (৩৫) এবং পুত্রবধু রিক্তা বেগম (৩০), রফিকুল হকের তিন ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪৫), পুত্রবধু কাকলী বেগম (৪০) আরেক ছেলে এমদাদুল হক (৪২) ও এনামুল হক (৩৮) কে আসামি করে পীরগাছা থানায় ওই দিন ২৬ মে মামলা দায়ের করে নিহত এমদাদুল হকের স্বজনেরা। মামলা নম্বর মামলা নং-২৬।
র্যাবের মিডিয়া ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে মূল অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার টংগুয়া বাজার পাড়ায় আত্বগোপন করেছিল৷ ২৩ জুন রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব ১৩ এর একটি অভিযানিক দল। সোমবার তাকে রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।