মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
এতে কৃষকের চিন্তায় মাথায় হাত ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কার কারনে। বিশেষ করে তরমুজ ও পেঁয়াজ চাষ ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৩ই মার্চ) রাত ৯টার পর জেলার এই দুটি উপজেলায় শিলাবৃষ্টি ব্যাপক হারে হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
জুড়ী উপজেলার কৃষক বলেন, রাতে হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছি। বিশেষ করে বর্তমানে শীতকালীন সব্জির ক্ষতি হয়েছে। রাতে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যায়নি। তবে জুড়ীতে শিলাবৃষ্টি বেশি সময় স্থায়ী হয়নি যার কারণে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ খুব একটা হবার সম্ভাবনা কম।
বড়লেখা উপজেলার বাসিন্দারা বলেন, রাতে বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ফাল্গুন মাসের একেবারে শেষের দিকে এসে এই বৃষ্টিতে ঘরের টিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উপজেলার দাসের বাজার ইউনিয়নের অনেক গরিবের ঘরের চাল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বড়লেখার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বড়লেখা উপজেলার পৌর এলাকা, পাখিয়ালা, মুড়িরগুল, পানিধার, মুছেগুলসহ হাওরপারের এলাকাগুলোতে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান শুক্রবারেই নির্দিষ্ট ভাবে নিরূপণ করা যাবে।
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম খাঁন বলেন, বর্তমানে শিলাবৃষ্টি হলে বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে তরমুজ জাতীয় ফসল চাষীদের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে জুড়ীতে তেমন শিলাবৃষ্টি হয়নি যা কৃষকের ক্ষতি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বড়লেখা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এইরকম কিছু ছবি আমার কাছে কয়েকজন দিয়েছেন। ছবিতে যে-রকম শিলাবৃষ্টি দেখা গেছে এরকম হলে কৃষকের শীতকালীন সব্জির ক্ষতি সাধন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি আছে।