চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শামসুল হক নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রদিয়ে আহত কারার ২৪ ঘন্টা পার হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল ) দুপুরে জোরারগঞ্জ থানার ৭নং কাটাছড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বাড়িয়াখালি এলাকয় এই ঘটনা ঘটে।
আহত শামসুল হকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রতিবেশি মৃত ফজলুল হকের দুই সন্তান মো: জহির (৪০) ও তার ভাই মো: স্বাধীন (২৬) উভয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলতেছিল। বিরোধকে কেন্দ্র করে আদালতে মোদ্দমা চলমান রয়েছে । বিবাদমান আমার দখলিয় সম্পত্তিতে তাদের প্রবেশে আদালতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার জহির উদ্দিন ও তার ছোটভাই স্বাধীন আমার সম্পত্তিতে প্রবেশ করে আমার গাছের ডাল কর্তন করে। এসময় আমি বাধা দিলে দুইজনে মিলে আমার উপর হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে জহির আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে তার হাতের দা দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয়। এসময় আমি হাত দিয়ে দায়ের কোপ প্রতিহত করতে চাইলে আমার হাতের তালু গভির কাটা রক্তাক্ত দাগ হয়। এসময় আমার স্ত্রী ফয়জুন্নেছা (৬৫) আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। পরবতীতে আমরা চিৎকার চেছামেচি করলে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জোরারগঞ্জ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় পুলিশের উপস্তিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। কিন্তু থানা পুলিশ হামলার ঘটনায় এখনো মামলা নথিভুক্ত করেনি।
অভিযুক্ত জহির বলেন, আমার মুরগির খামারের উপরে গাছের ঢাল থাকায় খামারের ক্ষতি হচ্ছিল। তাই একজন লোক দিয়ে দুটি ঢাল কর্তন করছিলাম। ওই সময় শমসুল হক তার স্ত্রী ও পুত্রবধু একত্রিত হয়ে লোকটিকে ডিল ও পাথর ছুড়ে মারে। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াই। এক পর্যায়ে তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির মধ্যে একটি ডাল দিয়ে বৃদ্ধার হাতে আঘাত করি। কিন্তু কোন ধারালো দা দিয়ে আঘাত করিনাই। তার হাত কিভাবে কেটেছে বলতে পারিনা। আমরা আওয়ামী পরিবার হলেও কারো সাথে কখনো খারাপ আচরণ করিনাই। তাই আওয়ামী সরকারের পতন হলেও আমি পালিয়ে যাই নাই। কিন্তু ওই বৃদ্ধ আওয়ামী সরকারের সময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের বাড়িঘর লুটপাট করেছিল আবার এখন বিএনপির সাথে একত্রিত হয়ে আমাদের উপর অত্যাচার করতেছে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, ঘটনা স্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। আহত বৃদ্ধের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।