মাটি খেকোদের হাত থেকে উদ্ধার সরকারি খাল ও ফসলি জমি

 

সাভারের আশুলিয়ায় মাটি খেকো নামে পরিচিত পাওয়া সাইফুল ও রসুল ওরফে রাসেল নামের দুই ব্যক্তি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খাস ফসলি জমির মাটি খনন করে সরকারি খালের একাংশ অবৈধভাবে দখল করে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে এই দুই মাটি খেকোর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে দখল করা খাল অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুর রহমান। এরআগে গত বুধবার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বড় রাঙামাটি শ্মশানঘাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, সাইফুল ও শিমুলিয়ার রণস্থল পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত ফেদা বেপারীর ছেলে রসুল ওরফে মাটি খেকো রাসেল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মালিকানা ফসলি জমিসহ পাশ্ববর্তী খাস জমির মাটি খনন করে সরকারি খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। এতে করে একদিকে চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী খালটি বিলুপ্ত হতে যাচ্ছিলো। অন্যদিকে মালিকানা জমিসহ খাস জমির মাটি খননের ফলে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। যার কারণে ওই জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বৃষ্টির সময়ে পানিতে আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তারা আরও বলেন, ওরা অনেক টাকা পয়সার মালিক, ওদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এর আগেও একবার ম্যাজিস্ট্রেট এসে মাটি কাটা বন্ধ করেছিলো। আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে অভিযান করে খালটি অবমুক্ত করলো। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং তারা যেন আর এধরনের কাজ না করতে পারে। সেজন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এব্যাপারে মাটি খেকো রসুল এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সঠিক কাগজপত্র আছে এবং তা নিয়ে আপনাদের সাথে দেখা করবে বলে ফোনটি কেটে দেয়। শিমুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পরিষদের চৌকিদার পাঠিয়ে বাঁধা প্রদান করি এবং সতর্ক করে দেই। তারা আমাদের নির্দেশনা না মেনে সরকারী খালটি দখলের চেষ্টা করে। এবিষয়ে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মধ্যপাড়া খালের এই অংশটি অবমুক্ত করা হয়। এ কাজে জড়িত কাউকে না পেয়ে মামলার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এ অভিযান পরিচালনার সময়ে আশুলিয়া থানার পুলিশের পাশাপাশি ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মচারী মোতায়েনরত ছিলো।