বাবা-মা ও বোনের পর মারা গেলেন টুটুলও

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দগ্ধের ঘটনায় বাবা-মা-বোনের পর এবার টুটুলের (২২) মৃত্যু হয়েছে। সে পেশায় গার্মেন্টকর্মী ছিল।  আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সোয়া ৯টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, টুটুলের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান তার বাবা আব্দুস সালাম মন্ডল (৫০), মঙ্গলবার সকালে মা বুলবুলি বেগম (৪০) ও দিবাগত রাতে মারা যান বড় বোন সোনিয়া আক্তার (২৭)।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সোহাগ জানান, তাদের বাসা ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। বাসাটিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে তারা ছুটে যান। তখন আগুন নিভিয়ে দগ্ধ টুটুল, তার মা বুলবুলি বেগম, বাবা আব্দুস সালাম মন্ডল ও বড় বোন সোনিয়া ও ভাগ্নি মেহেজাবিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

টুটুলের চাচাতো ভাই মো. আলআমিন মন্ডল জানান, তাদের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার দিয়াঘাট গ্রামে। ফতুল্লার কাশিপুরের বাসায় ভাড়া থাকতেন। টুটুল স্থানীয় একটা পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রিকের কাজও করেন। আর বড়বোন সোনিয়ার শ্বশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ঘটনার ৩-৪ দিন আগে সোনিয়া তার মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে আসেন বাবা-মায়ের বাসায়। বাসার চার্জার ফ্যানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঘরে আগুন ধরে যায় বলে জানান তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, এই ঘটনায় ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছে মেহেজাবিন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এমএফ