বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত সেজেছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এরিয়া।জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ সকল কার্যক্রম। প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে সৌধপ্রাঙ্গণ। জাতির গৌরবের এই দিনে নামবে লাখো মানুষের ঢল। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধের বেদি।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টাই স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে মূল ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত লাল, সবুজ ও নীল আলোকবাতি দিয়ে আলোক সজ্জায় সজ্জিত পুরো এলাকা।

লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাল টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ। প্রতিটি স্থাপনা সাজানো হয়েছে আলোক সজ্জায়।

সড়কগুলোতে বাহারি রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাল টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ। লেকের পানিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে লাল শাপলা।

স্মৃতিসৌধের এলাকার অপর পাশে জয় রেস্তোরা, সেনা শপিং কমপ্লেক্স, সেনা অডিটোরিয়ামসহ সড়কের বিভিন্ন অংশে দেওয়া হয়েছে আলোকবাতি।এছাড়াও দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চারদিক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলি মো. মিজানুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গেট থেকে শুরু করে সৌধ এলাকার সব স্থানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

বিজয় দিবসকে ঘিরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ গত ৪ ডিসেম্বর থেকে জনসাধারনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ।