পটিয়ার ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবরকে নিয়ে মিথ্যা ও পরিকল্পিত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা
পটিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ‘মিথ্যা ও পরিকল্পিত অপপ্রচার’ এর প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে কুসুমপুরা ইউনিয়নের সর্বস্তরের ব্যানারে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভায় বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় কয়েকশ এলাকাবাসী তার সমর্থনে উপস্থিত হয়ে পরিষদের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবর দীর্ঘ বছর ধরে এলাকায় জনগণের সেবা করে আসছেন। তিনি কোন দিন কোন সময়ে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। সমাজসেবী হিসেবে শওকত আকবর এলাকায় সমাদৃত। গেল বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া ডালিম পালিয়ে যাওয়ার পর পরিষদ তালাবদ্ধ ছিল। সে পরিস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আকবর ছাড়া সব ইউপি সদস্যরা জনরোষের ভয়ে আত্নগোপনে চলে যায়। তিনি পরিষদে এসে তালা খোলে স্হানীয়দের নিয়ে পরিষদের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করতে প্রানপন চেষ্টা করেন। তার এ জনবান্ধন কার্যক্রম দেখে উপজেলা, জেলা প্রশাসন, স্হানীয় সরকার বিভাগ তাকে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পন করেন। গেল কয়েক মাস ধরে তিনি এ দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে। তার এ কার্যক্রমে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঈর্ষান্বিত হয়ে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা গুজব ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট ছড়িয়ে দিয়ে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, এ অপপ্রচার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এতে তার ব্যক্তিগত এবং প্রশাসনিক সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই ধরনের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রশাসনের নিকট দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় সভায়। শওকত আকবর বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী দুঃশাসনকালে ২ টি গায়েবী মামলায় এজহারভুক্ত আসামী করা হয়। প্রতিবাদ সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা শওকত আকবরের সমর্থনে স্লোগান দেন এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সভায় উপস্থিত বয়োবৃদ্ধ সোলাইমান হোসেন বলেন, ভারপ্রপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে শওকত আকবরকে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে পরিষদের সেবার মান উন্নত হয়েছে, যা আগে এতটা সহজ ছিল না। তার মতো একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার আমরা কখনোই মেনে নেব না। উপস্থিত জনতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবরের পাশে থাকার এবং সব ‘ষড়যন্ত্রথ প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা, কুসুমপুরা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, জামায়াত ইসলামী কুসুমপুরা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক, গনতান্ত্রিক যুবদল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, পরিষদের সচিব রাজিব মিত্র, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা চট্টগ্রাম জোনের যুগ্ম আহবায়ক আবু জুনায়েদ আসাদ, কুসুমপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী নুর মোহাম্মদ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাহমুদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপি নেতা বেলাল উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্য আবু বক্কর মুন্না, কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্র প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, হরিনখাইন বিএনপির সাবেক সভাপতি আহমদ হোসেন মতোয়াল্লী, জামায়াত ইসলামী নেতা নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।