জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনে ব্যাপক রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় ডিসি, এসপি, ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি দিয়ে বদলি করা হয়েছে। শিগগির আরও কয়েক দফায় এসব পদে রদবদলের পাশাপাশি উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি আসছে। সেই সাথে ১০ জেলায় এসপি এবং তিন শতাধিক ইউএনওকে নিয়োগ ও পদায়ন করা হবে। জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য ২২ ব্যাচ পর্যন্ত ৫৬৫ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় আনা হচ্ছে। এর মধ্যে ২২ নিয়মিত ব্যাচের ২৪৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতিবঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের ১১৩ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডারের ২০৭ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় আনা হচ্ছে। পদ না থাকলেও তিন স্তরে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এবার উপসচিব, যুগ্ম সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্য অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্য তালিকা (ফিট লিস্ট) প্রস্তুত করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব পদেও পদোন্নতির প্রক্রিয়া চলছে ।
নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) ভূমিকা বেশি, তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই মাঠ প্রশাসনে শীর্ষ কর্মকর্তাদের রদবদল বা পরিবর্তনকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রশাসনে পদোন্নতি, রদবদল বা কর্মকর্তাদের কর্মস্থল পরিবর্তন একটি রুটিন ওয়ার্ক হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে রদবদলে সবার নজর থাকে। কারণ নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব মূলত পালন করবেন ডিসিরা। যে কোনো কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিল করার ক্ষমতা ডিসিদের হাতে ন্যস্ত থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনী থাকে রির্টানিং কর্মকর্তা তথা ডিসিদের অধীনে। স্বাভাবিক সময়ে পুলিশ বাহিনী জেলায় স্বাধীনভাবে কাজ করলেও নির্বাচনের সময় তারা জেলা প্রশাসকদের কর্তৃত্ব মেনে চলেন।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রশাসনে সিনিয়র সচিবের ৬৯টি পদে কর্মরত আছেন ৮০ জন। অতিরিক্ত সচিবের ১৪০টি পদে রয়েছেন ৩১৩ জন। যুগ্ম সচিবের পদ ৩৩২টি, আছেন ৮৪৭ জন। ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৪২৮টি, কর্মরত আছেন ১ হাজার ৭০১ জন। সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ৮৭৬ জন কর্মরত থাকলেও অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৫। আর সহকারী সচিব পদে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ৪৩৬ জন, যেখানে পদের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৩।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অনেকেই বলতে পারেন সামনে নির্বাচন, এখন নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া মানে নির্বাচনের জন্য। কিন্তু তা নয়, যাদের মাঠ থেকে উঠানো হয়েছে তাদের সময় ‘ম্যাচির্উড’ হয়েছে। তাই তাদেরকে উঠিয়ে এনে অন্যদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসনকে অনেক কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। এখন যারা দায়িত্ব পাচ্ছেন, তারা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধিনেই থাকবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি এক সমাবেশে অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনে ‘কারচুপি’ করতে সরকার এখন থেকেই প্রশাসন সাজাচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশে ব্যাপক রদবদল, পদোন্নতি ও সচিবদের রদবদলসহ প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটার একটাই উদ্দেশ্য, নির্বাচন সামনে রেখে তারা তাদের মতো করে সবকিছু সাজিয়ে তুলছে।
অন্যদিকে মাঠ প্রশাসনের এই রদবদলকে নিয়মমাফিক পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা নিয়মমাফিক রিপ্লেসমেন্ট। নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসন সাজানো হচ্ছে বলে যারা দাবি করছেন, তাদের দাবি ভিত্তিহীন। কারণ প্রত্যেকটা জিনিসই নিয়মমাফিক করা হচ্ছে। কাউকে বঞ্চিত বা কাউকে সুপারসিড করেও কিছু করা হচ্ছে না। পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের যোগ্যতা ও পারপরম্যান্স বিবেচনা করা হয়। যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে তিনি বলেছেন, জনপ্রশাসনে অনুমোদিত পদ ১৪ লাখ ৯ লাখ ৬০৬টি। এরমধ্যে কর্মরত আছেন ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪০ জন। বর্তমানে শূন্য পদ পূরণের জন্য সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
পুলিশের উর্ধ্বতন ৫১ পদে বদলি :
মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ পদে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত রোববার (১৬ জুলাই) পুলিশের ঊর্ধ্বতন বেশ কিছু পদে বড় ধরনের রদবদল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার ও ৩৫ অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে একদিনে ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহাবুর রহমান শেখ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সিআইডির ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিককে ট্যুরিস্ট পুলিশে, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) একেএম নাহিদুল ইসলামকে সিআইডিতে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) রাজশাহী, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানকে ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজে, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হককে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও রাজশাহী মহানগরী পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমানকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি করা হয়েছে।
রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদকে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মো. জামিল হাসানকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি পদে, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রখফার সুলতানা খানমকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন খানকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামানকে এসবিতে, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহীল বাকীকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে, টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মো. ময়নুল ইসলামকে ঢাকা ট্রেনিং ড্রাইভিং স্কুলে ও ঢাকা ট্রেনিং ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মো. নজরুল ইসলামকে টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে বদলিকৃত ৩৫ অতিরিক্ত ডিআইজিদের মধ্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. দোলোয়ার হোসেনকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদারকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খানকে পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টুটুল চক্রবর্তীকে নৌ পুলিশে, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খানকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাজ্জাদুর রহমানকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহী মহানগরী পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. ফারুক হোসনকে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবিতে, রাজশাহী মহানগরী পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সামসুন নাহারকে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবিতে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানাকে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবিতে এবং রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এ এফ এম আনজুমান কালামকে পুলিশ সদরদপ্তরে পদায়ন করা হয়।
নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পংকজ চন্দ্র রায়কে রংপুর রেঞ্জে, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এম এ জলিলকে পুলিশ সদরদপ্তরে, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবালকে অধিনায়ক কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদকে সিলেট রেঞ্জে, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন রীনাকে হাইওয়ে পুলিশে, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহাকে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল মান্নান মিয়াকে চট্টগ্রামে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিমকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলামকে রাজশাহী মহানগরী পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরীকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
একই প্রজ্ঞাপনে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাসানুজ্জামানকে খুলনা রেঞ্জে, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান মিয়াকে হাইওয়ে পুলিশে, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নরেশ চাকমাকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ফয়সল মাহমুদকে রাজশাহী রেঞ্জে, র্যাবের পরিচালক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে, নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি দীন মোহাম্মদকে রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট, রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট মো. আব্দুর রাজ্জাককে বগুড়া ৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, বগুড়া ৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সৈয়দ আবু সায়েমকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মেহেদুল করিমকে রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট এবং রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট এস এম আশরাফুজ্জামানকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিতে পদায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞাকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের পরিচালক, বরিশাল মহানগরী পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুনকে বরিশাল ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, পুলিশের বিশেষ শাখা এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহা. আহমারউজ্জামান গাজীপুর মহানগরী পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হামিদুল আলমকে বরিশাল মহানগরী পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট মো. রেজাউল করিমকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে।
২৪ এসপি বদলি :
পুলিশে বদলি ও পদায়নের ধারাবাহিকতায় এবার এসপি পদমর্যাদার ২৪ কর্মকর্তার কর্মস্থল পরিবর্তন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই এসপিদের পদায়ন ও বদলি হয়। প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন জেলা ছাড়াও, পুলিশ সদর দপ্তর, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) , সিআইডি, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তারা রয়েছেন।
তাদের মধ্যে সিআইডিতে কর্মরত মুক্তা ধরও রয়েছেন। তাকে সিআইডি থেকে খাগড়াছড়ির এসপি করে পাঠানো হয়েছে। মুক্তা ধরকে খাগড়াছড়িতে পাঠানোর পাশাপাশি খাগড়াছড়ির এখনকার এসপি নাইমুল হককে ট্যুরিস্ট পুলিশে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) আজিম উল আহসানকে ঝিনাইদহে, পুলিশ সদরদপ্তরের মনজুর রহমানকে মৌলভীবাজারে, ট্যুরিস্ট পুলিশের সৈকত শাহীনকে বান্দরবানে এসপি করে পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবানের এসপি তারিকুল ইসলামকে নাটোরে বদলি করা হয়েছে , নাটোরের সাইফুর রহমানকে রাজশাহীতে, ডিএমপি’র উত্তম প্রসাদ পাঠককে ঠাকুরগাঁওয়ে, এসবির জিএম আবুল কালাম আজাদকে রাজবাড়িতে, ডিএমপির আবুল হাসনাত খানকে বাগেরহাটে, ডিএমপির মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদকে লক্ষ্মীপুরে এসপি করে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের মোহাম্মদ আশিকুর রহমানকে এসবিতে, মৌলভীবাজারের মোহাম্মদ জাকারিয়াকে হাইওয়ে পুলিশে, রাজশাহীর এবিএম মাসুদ হোসেনকে ডিএমপিতে, ঠাকুরগাঁওয়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে সিআইডিতে, রাজবাড়ীর এম এম শাকিলুজ্জামানকে খুলনা মহানগর পুলিশে, জামালপুরের নাছির উদ্দিনকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে, বাগেরহাটের কে এম আরিফুল হককে রাজশাহী মহানগর পুলিশে, লক্ষ্মীপুরের মাহফুজ্জামান আশরাফকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) বদলি করা হয়েছে।
পিবিআই’র শেখ জাহিদুল ইসলামকে এসবিতে, পুলিশ অধিদপ্তরের মোছা. শামিমা আক্তারকে স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন), পুলিশ স্টাফ কলেজের এসপি হিসাবে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত সরকার ওমর ফারুককে রাজশাহী মহানগরে এবং পুলিশ সদর দপ্তরের তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরীকে সিলেট মহানগরে বদলি করা হয়েছে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে জামালপুরের এসপি করে পাঠানো হয়েছে। তাকে ইতোপূর্বে নওগাঁয় বদলি করা হয়েছিল। সেই বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে সোমবারের প্রজ্ঞাপনে। নওগাঁর পুলিশ সুপার রাশিদুল হককে ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার হিসাবে ইতোপূর্বে বদলির আদেশও বাতিল করা হয়েছে। ফলে রাশিদুল নওগাঁতেই থাকছেন।
এমএইচএফ