ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

কিছুদিন আগেই আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় মোকা। এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। চলতি জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

বুধবার (১ জুন) আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ।

মোস্তাফা কামাল পলাশ জানান, জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আঘাত হানতে পারে।

ইউরোপীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়ে বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী কোনো স্থানে ৯ থেকে ১০ জুনের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।

আমেরিকান গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের বরাত দিয়ে মোস্তাফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরে ১১ থেকে ১২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়ে ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের পাঁচ থেকে ১০ দিন আগে আমরা পূর্বাভাস জানিয়ে দিই।

এদিকে, সারাদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দাবদাহ আরও দু’দিন থাকতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার ( ১ জুন) সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এছাড়া চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বলিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে এবং বিদ্যমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার (৩১ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়, ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।