ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৭ জুলাই ওই আসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
বুধবার (৩১ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ১৭ জুলাই ওই আসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং বৃহস্পতিবার (১ জুন) উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
গত ১৫ মে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুকের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট মানিকগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মানিকগঞ্জে জন্ম হলেও তার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ – এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
১৯৭৫ সালে তার অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক জনপ্রিয় ও ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ ও ‘নয়নমণি’, ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ বেশকিছু সিনেমায় ‘মিয়া ভাই’খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।
২০১৬ সালে চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন এ অভিনেতা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল ও সেরা নায়কদের একজন হিসেবে স্বীকৃত। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।