শরীরের অতিরিক্ত মেদ-ওজন সৌন্দর্য অনেকটাই কমিয়ে দেয়! বর্তমানে স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন নারী-পুরুষ’সহ শিশুরাও। যদিও ওজন কমাতে শারীরিক পরিশ্রম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। তবে এর পাশাপাশি কিছু নিয়ম-কানুনও মেনে চলা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কঠোর ডায়েট ছাড়াও আপনি যে উপায়ে ওজন কমাতে পারবেন-
ধীরে খাওয়া
এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী এক উপায়। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে তা ভালোভাবে হজম হয়।বিজ্ঞান এই সত্যকে সমর্থন করে, দ্রুত খেলে খাবার বেশি খাওয়া হয়। কারণ খাওয়া শুরুর কিছুক্ষণ পর মস্তিষ্ক পেট ভরার সংকেত দেয়। তাই আপনি যদি ১৫-২০ মিনিট ধরে ধীরে ধীরে খাবার খান তাহলে খাওয়া কম হবে।
শুধু খাবারেই মনোযোগ দিন
বেশিরভাগ মানুষই এখন খাওয়ার সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে চোখ রাখেন। এতে খাবারে তুলনায় অন্যদিকে বেশি নজর থাকে। এক্ষেত্রে খাওয়া বেশি হয়ে যায়। ফলে ওজনও বাড়তে শুরু করে।
আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খান
ডিম, মুরগির মাংস, টকদই ইত্যাতি খাবার বেশি রাখুন পাতে। কারণ প্রোটিন দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।
আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে
প্রোটিনের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে আঁশ জাতীয় খাবার। বারবার খাওয়ার লোভ কমাতে এ ধরনের খাবার বিশেষ উপকারী।
অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন
বাইরের ভাজাপোড়া খাবার কিংবা ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন ওজন কমাতে চাইলে। জাঙ্কফুড খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনি কখনো ওজন কমাতে পারবেন না। এর বদলে সবুজ শাক-সবজি ও সালাদ খান।
চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
চিনিযুক্ত জুস থেকে শুরু করে বিভিন্ন পানীয় বা সোডা এড়িয়ে চলুন। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর বদলে লেবুর শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করুন।
খাবারের অন্তত ২০ মিনিট আগে ২ গ্লাস পানি পান করুন
খাবার খাওয়ার আগে অন্তত এক বা দুই গ্লাস পানি পান করাও হতে পারে স্বাস্থ্যকর এক অভ্যাস। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করার এটি অন্যতম কৌশল।
নিয়মিত ঘুম জরুরি
অনেকেরই রাত জাগার অভ্যাস আছে। কাজের ক্ষেত্রে তো বটেই, অনেকে আছেন, ইচ্ছে করেই রাত জাগেন।এই অভ্যাস কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নিয়মিত গভীর ঘুম না হলে ওজনও সহজে কমবে না। এজন্য ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইম কমান ও রাতে দ্রুত ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া