গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা মাদরাসা পড়ুয়া হাফেজা মেয়ে মিমকে দু’দুবার বাড়িতে একা পেয়ে বেধড়ক পেটানোর পরও মামলা নেয়নি পূবাইল থানার ওসি শেখ আমিরুল ইসলাম। এমনকি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর সেই অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতাও পায়নি বলে জানিয়েছে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমিরুল। অন্যদিকে পূবাইল থানার ওসি শেখ আমিরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান ওরা মা-মেয়ে উভয়ই খারাপ।তার মেয়ে মিম কোরআনেরও হাফেজ অন্য বিষয়েও হাফেজ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,নাজমার মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে মীমকে মনিরুল বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো। গত নভেম্বরের মাঝামাঝি মিমকে কু-প্রস্তাব দিলে মিম বিষয়টি তার মা নাজমাকে জানায়। ভিকটিম অভিযোগ দিতে আসলে থানায় উভয় পক্ষকে ওসি শেখ আমিরুল ইসলাম সমঝোতা করে দেন।
পুনরায় মনিরুল মেয়েকে উত্যক্ত করলে প্রতিবাদ করে ভিকটিমেরা।এর জের ধরে গত ২৯ নভেম্বর নাজমা ও তার মেয়েকে দুলাভাই মনিরুল মারধর করে। ৩০ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফিরলে রাতে আবারও মারধর করেন ভিকটিমের দুলাভাই মনিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন।
অভিযুক্তরা হলেন-ভগ্নিপতি মনিরুল ইসলাম, মনিরুলের ছেলে মোঃ হাসান, মেয়ে মীম,খালেদা, ডলি ও আবিদ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে পূবাইল থানার ৪২ নং ওয়ার্ডের তালটিয়া এলাকায়।
ভিকটিম নাজমা ও তার মেয়ে মিম জানান মারধরের শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে অপবাদ দিয়ে ধমকিয়ে বিদায় করে দেয় ওসি। আমাদের অসহায় পেয়ে দু’দুবার বাড়িতে এসে মারধর করেছে।থানায় অভিযোগ করে বিচার পাইনা।আমাদেরকে মার্ডার করলে কী মামলা নিবে ওসি?
অবশেষে মঙ্গলবার উপায়ন্তর না দেখে দিশেহারা নাজমা ও মাদরাসা ছাত্রী মিম গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের অফিসে হাজির হয়ে বিচার দাবি করে লিখিত অভিযোগ করে থানায় মামলা না নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) নাসির জানান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জিএমপি পুলিশ হেড কোয়ার্টার ডিসি ইলতুৎমিশ বলেন আমি পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) নাসিরকে বলে দিচ্ছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম জানান আমার শালী ও তার মেয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করে বেড়ায় ।আমি শাসন করলে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়।