প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় আসছেন আগামী ১৩ নভেম্বর।খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে ওই দিন জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এবারের জনসভা মঞ্চ তৈরি হবে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ নভেম্বর খুলনায় আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু সফরসূচি পরিবর্তন হয়ে প্রথমে ১১ নভেম্বর ও পরে ১৩ নভেম্বর চূড়ান্ত হয়েছে। ১৩ নভেম্বর দুপুর ২টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার ওই জনসভাকে ঘিরে বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার জন্য গত ১০ দিন ধরে খুলনা মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা ও কর্মীসভা করছে। খুলনা অঞ্চলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি নিজে উপস্থিত থেকে প্রস্তুতি তদারকি করছেন। ইতোমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতা খুলনায় এসে প্রস্তুতি সভা করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আরও চার থেকে পাঁচ দিন আগে সার্কিট হাউজ মাঠে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সামনে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জনসভাস্থলে আগত নেতাকর্মীদের জন্য সার্কিট হাউজ মাঠে রাখা হয়েছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। সার্কিট হাউজের আশপাশের সড়কগুলোতে কার্পেটিং করা হচ্ছে। সার্কিট হাউজের চারপাশের ড্রেনের কাভারগুলো রঙ করা হচ্ছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা। জনসভাকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। খুলনার মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিনিয়ত চলছে কর্মীসভা, প্রস্তুতি সভা। ব্যানার ও তোরণে সেজেছে গোটা নগরী। খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে নৌকা ও পদ্মাসেতুর আদলে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। জনসভা সফলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।