খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে বন্যা

খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টি চলছে। ভারি বর্ষণে যে কোনো সময়ে পাহাড় ধসে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে মাকিং করছে ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে পাহাড়ের নিচে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের কতৃক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করছেন।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় ৩৫ হাজার পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। আর খাগড়াছড়ি পৌর শহরের ৩০টি স্থানে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। অনেক বসতবাড়ি পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে প্রায় ২ হাজারের পরিবারের বেশি। শহরের শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, সবুজবাগ, নেন্সিবাজার বেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছে চেঙ্গী নদীর তীর বর্তী এলাকার বসবাস মানিষদের।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, পাহাড় ধস হলে জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলছি। যদিও তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে আগ্রহী নয়।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা ও পাহাড় ধসে জানমালের নিরাপত্তায় যে বিষয়গুলো নজরে এসেছে আমরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এমএইচএফ